সঙ্গী জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে থাকে বলে ব্রেকআপ একজন মানুষকে আবেগপ্রবণ ও দূর্বল করে দিতে পারে।
ব্রেকআপ থেকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় আনন্দময় মূহূর্তের স্মৃতিগুলো ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। ব্রেকআপের পর নিজেকে সামলে নেয়া অনেক বড় চ্যালেঞ্জের। এই দুর্যোগময় সময় কাটিয়ে ওঠার জন্যও আছে টোটকা। ব্রেকআপের পরের শোক কাটিয়ে উঠতে যা যা করবেন-
প্রচুর কান্না করুন। পেট ব্যথা না হওয়া পর্যন্ত কান্না করুন, যাতে আপনার চেপে রাখা অনুভূতিগুলো আপনার বিবাহের সময় বিস্ফোরিত না হয়।
গান শুনলে মানুষ মানসিকভাবে প্রশান্তি লাভ করে। গানের থেরাপিক প্রতিক্রিয়া আছে। গান শুনলে মানুষের হৃৎস্পন্দন কমে আসে, ব্যথা উপশম হয় ও চাপমুক্তি ঘটে। কিম ৪৭ মিনিটের ‘গেট ওভার ইওর ব্রেকআপ’ গানটি শোনার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
গবেষকরা বলেছেন, কারো আবেগকে বাস্তবে রূপ দান করার মাধ্যমে রাগ ও দুঃখ দূর করা যায়। অর্থাৎ আপনার দুঃখ-কষ্ট কিংবা নিজের প্রতি ক্ষোভগুলো অন্যের সঙ্গে শেয়ার করুন।
আপনি যদি প্রতারণার শিকারও হোন তবুও সম্পর্কের মূল্যায়ন করুন। আপনি ভেবে দেখুন, কেন আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
পুনরায় মিলিত হোন দুজন। অনেক মনোবিশারদই প্রাক্তনকে সম্পূর্ণ ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেন অর্থাৎ কোনো টেক্সট নয়, যোগাযোগ নয় ইত্যাদি। সেখানে আমি বলবো, একবারের জন্য আপনারা আবার মিলিত হোন।
ভার্চুয়াল জগতে চুপিসারে প্রাক্তনকে অনুসরণ করতে বারণ করেছেন কিম। প্রাক্তনের ফেসবুকের প্রোফাইল ফলো করা আপনার জন্য বেদনাদায়ক হতে পারে।
খারাপ সময়ের কথা মনে করুন। ভাবুন সম্পর্কের খারাপ অভিজ্ঞতাগুলো। ওই মুহূর্তগুলোর কথা ভুলে যাবেন না। আপনি বরং আজ থেকে ১০-১৫ বছর পরে আপনার অবস্থানের কথা চিন্তা করুন।
আপনি নিজেকে ধন্যবাদ দিতে পারেন এই ভেবে যে, আগামী ১৫ বছর পর আপনাকে এমন খারাপ পরিস্থিতিতে আবার পড়তে হবে না।
বাইরে ঘুরতে যাওয়ার মাধ্যমে ডিপ্রেশন দূর হয়। গবেষণা বলছে, কোনো কিছুই মানুষের মানসিক চাপ কমাতে পারে না, যতটা প্রকৃতির স্বান্নিধ্যে কমে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।